Followers

Total Pageviews

Wednesday, July 17, 2013

বেয়ারা মন

কবে যে মন ছুঁয়ে যাওয়া
একটা কবিতা লিখবো তোমাকে নিয়ে

আজকাল মন ও হয়েছে বেয়ারা।

অবুঝ মন

মন যেবেলায় অবুঝ হবে
ঠিকই যাবো তোমার কাছে
ঘুরতে ঘুরতে একলা পথে
স্বপ্ন মাখা হাতের পরে
তোমার হাতের পরশ পেতে

শিরোনামহীন শ্রেষ্ঠ

হ্রদয় খুড়ে কতবার ভালবাসার প্রমান চাও?
যতবার মুগ্ধতা তোমাতে আমার?

রঙ্গিন ফরিং

কাল ঘাসফুলে ছিল এক রঙ্গিন ফরিং
ধরতেই উড়াউড়ি।
শব্দে বারন ছিল হাসাহাসি
তাই আমাদের ছিল নীরবতা ঢের।

কিছু পাগলামি

ঘর পালানো জোছনায়
আমাদের পাগলামি

হার মানা

স্যাক্সোফোনের গ্লাসে রঙ্গিন পানি
তোমার চোখের ভাষাকে হার মানাতে পারেনা তবু।

ইনসমনিয়ার শহর

মাঝে মাঝে বিষন্নতা এমন এ পৃথিবীর বুকে
পিচের কালো রাস্তায় গলে যায় অস্পস্ট কষ্ট।
হেডফোনের সেতার একমাত্র সঙ্গী জীবনের তরে।

শহরও আজকাল ইনসমনিয়ায় পেরেশান
শেষ রাতের হেলেদুলে চলা ট্রেনের মত মেঘ নামে মনে
এক এক করে।

অলস মন

আমিও বেশ দেখতে হয়েছি আজকাল
তুমি চলে যাবার পরে
খোলা চুলেই রোদ্দুর বৃষ্টি
খোলা মনে জানালা দেওয়া
মনের উঠোনে এক চিলতে মেঘ সারাদিন গড়িয়ে বেড়ায়
তাড়ালেও পোষা বিড়ালের মত এদিন সেদিক - আবার কাতরায়।

তুমি

তোমার কথা ভাবতেই মনে পড়ে কাঠপেন্সিলের গন্ধ।
বাল্যসখা, তুমি এখন কোথায় আছো কেমন আছো?
টেকনোলজির আধুনিকতায় এখন কি প্রিয়তমাকে চিঠি লেখা হয়না আর?
খয়েরী রঙের চুলের দোলায় আমার দুকাঁধ ছাপানো বিনুনী, লাল ফিতা, হারিয়েছে জানি সেই কবে। তবু কাঠ পেন্সিল হাতে নিলেই স্মৃতিতে তুমি।

ফেলে আসা কথা

কলেজের গেটে দাঁড়ানো কিশোরের নিদ্রা কাড়া চনমনে কিশোরী
আজ কাঁচাপাকা চুলের ঢেউ খেলিয়ে
চশমাটা ঠিক করে নেয়।
খুব চেনা লাগে মুখটা।
ভারী ফ্রেমের আড়ালের চোখদুটো-
আচ্ছা, রকে দাঁড়িয়ে গান গাওয়া ছেলেটি নয়তো?

বৃষ্টির দিনে শেষ দেখা, কলেজের শেষ দিনে
এর পর ভেজা বেনী খোলা হয়নি কতকাল মুচকি হেসে।
এর পর লোভ লালসার দিন পেরিয়ে – আজ এখানে একা –
অতঃপর মুখোমুখি – আজও কি কথা হবেনা?

এগোই কিছু পথ

ঘর ভরা শূণ্যতা পিছনে ফেলে এগোই কিছু
চৌকাঠ পেরোতেই পায়ে চাপা থ্যাতলানো ঘাসফুলের স্বপ্ন ভঙ্গের কাহিনী
পারোই আরো কিছু পথ - কক্ষপথ
চাঁদ তারার রাজ্যে বিরহ

সর্বনাশা ভালোবাসা তোর

সন্ধ্যের একটি উলকার পতনে
আমাদের রাজ্যপাট হয়েছে দিশেহারা
গগনচুম্বী ভালোবাসা তোর
এমনই সর্বনাশা

কৃষ্ণচূড়া ও আমি

কিছু কৃষ্ণচূড়া তুলে আনবো বলে
পীচের কালো রাস্তায় আমি

দিন রাত

না হয় কেটে গেল মোটামুটি এজীবন।
হিসেব না বেহিসেবী জানা নেই
তলানী কামড়ে খাবার সাধ নেই
আকাশের মেঘ দেখে পার হোক দিন।
হতাশার আলিঙ্গনে তুমি আমি পার করি দিন।

Monday, May 27, 2013

কোথাও তুমি

বৃষ্টিগুলো মাঝে মাঝে বিড়ম্বনা বাড়ায়
মেঘের ডাকে আমি ইচ্ছাহীন ঘরমুখী
জানালার কাঁচে টুকটুক করে জলকনা
এপারে আমি - ওপারে কোথাও তুমি

এভাবে কতদিন

এভাবে কতদিন?
ইথারে ভালোবাসা- রেডিও ওয়েভে দেহের ভাজ
একট ছুঁয়ে যাও - কোন এক ক্ষণে
অহল্যা সারাজীবন পাথর নয়

আমি নেই

তোমার এই ছন্নছাড়া ভালোবাসা -
একদিন যখন লোকে তোকে আর আমাকে বলবে উন্মাদ কোথাকার
সেদিন একটু মুখ লুকাতে দিস তোর বুকে
যেখানে আমি নিশ্চিত জানি - আমি নেই কোন অঙ্কের ভগ্নাংশে

Thursday, April 25, 2013

সীমানা ছাড়িয়ে যায়


সলিটেইর খেলতে খেলতে সেই কখন যে নিজের সাথেই একা হয়েছি বুঝতে পারিনি
আজ তাস যতই এদিক সেদিক করি
একাকিত্বের উঁকি ঝুকি তেমনি আছে

বিষন্ন প্রহর কাটে একলা আকাশে তোমার নাম লিখে লিখে
তুমি কবে বলেছিলে আর হবেনা দেখা
তবু তোমার খোঁজেই দৃষ্টি সীমানা ছাড়িয়ে যায়।

Sunday, April 21, 2013

চিরতরের বিরহ


মুক্ত করতলে
টাপুর টুপুর...

তুমি তাকাও বর্ষিত মেঘেদের দিকে
ভেজাও চোখের স্বপ্নগুলো

                                   আমি কুড়াই 
                                   চিরতরের বিরহ

তোমাকে পাবার আশায়




অতঃপর ক্রমশ মিলাও তুমি তারাদের মাঝে,
স্বপ্ন পুরুষেরা এক এক করে হারায় দিক
ধ্রুবতারার দিকে ধাবিত নারীরা একে একে ফেরা পথে হেটে চলে
বিষন্ন চাঁদ মুখ ফিরায় মেঘেদের দলে
তবু

ফেরা পথে আমি হাটি বিপরীতে। তোমাকে পাবার আশায়।



Saturday, March 9, 2013

তোমাকে চাই




যারা লেখে তাদের প্রত্যেকের জীবনে একজন গোপন প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকে যে তাকে দিন রাত লেখার জন্য তাড়িয়ে বেড়ায়। সে মানুষ হোক না প্রকৃতি হোক বা হোক অন্য কিছু, একটা তাড়নাবোধ না থাকলে লেখা যায়না। সে হয় একজিস্ট করে অথবা করে না। হয়তো স্বপ্নের জগতে সে উড়ে বেড়ায় অনেক আনন্দ অথবা কষ্ট বুকে নিয়ে। তার ভাবনায় আবেগগুলো আন্দোলিত হয়। কখনো দূঃখ, কখনো সুখ, কখনো ভালোবাসা, কখনো কষ্ট বুকে নিয়ে সে লিখে যায়। একসময় লেখা ঝাপসা হয়ে আসে, আবার তাড়না চায় মন। আবার প্রেরণা খুঁজে বেড়ানো।

আজকাল আমি লিখতে পারছিনা। আমার আবার তোমাকে চাই।