Followers

Total Pageviews

লীলাবালীর কথা

লীলাবালী ১

স্মৃতি

অসময়ে স্মৃতির পাতা উল্টে ভাবে লীলাবালী ...
আজ দিনটা কি ঠিক এইসব ভাবাভাবির জন্য?
নাকি অন্য আরেকদিন হবে স্মৃতির সাথে বোঝাপরা?
তবে অন্যদিন যদি মন সায় না দেয়? তবে?
আজই হোক তোমার স্মৃতিতে আমার ডুব সাতার।

লীলাবালী ২
কোন ক্ষণে

সবুজ ঘাসের অচেনা ঘাসফুল,
ভোরের শিশির অশ্রু ছোয়াঁয় মনে,
লীলাবালী সিক্ত মনে ভাবে,
তারে ছিল একবার দেখিবার --কোন ক্ষণে


লীলাবালী ৩
বৃষ্টি

অঝর ধারার বৃষ্টিরও তবু একসময় ক্লান্তি আসে...তবু তোমার আর সময় হয়না আমার চৌকাঠে পা রাখবার...বৃষ্টি ভেজা ভোরে আমি রাতজাগা একলা মানুষ। তুমি নেই কেন এ প্রশ্ন আজ নিজেও ক্লান্ত মনে মুচকি হাসে। হাসে লীলাবালীও ...বিসন্ন চোখে ।


লীলাবালী ৪
খেয়ালী দিন

এক একটা দিনে খেয়ালী হাওয়া তোমায় পাঠাই, ফিরে আসে স্পর্শ নিয়ে তোমার - ভাবে লীলাবালী এমন দিনে একটা খেয়ালী স্বপ্নতো দেখাই যায়।

লীলাবালী ৫

আজ এমনি একটা দিন
যেদিনে তোমাকে কিছুতেই মন থেকে দূরে পাঠানো যাচ্ছেনা

লীলাবালী ৬
জাস্ট মনে হয়

জীবনে বেড়ে উঠাটাই একটা ঘটনাবহুল অধ্যায়। কত চড়াই উৎরাই, শৈশব কৈশোর পেরিয়ে একটা বিরাট সময় জুড়ে থাকে জীবনের এই বেলা। কৈশোরের অনুভুতিগুলো অনেকটাই যেমন থাকে রোল মডেলের থেকে ধার করা, এই বেলাটা একটু অন্যরকম, সব যেন নিজের মত করে দেখা। কৈশোরে দিনগুলি যেন দীর্ঘ। অলস দুপুরে আর বিকেলের গড়াগড়িতে প্রথম প্রেমে নিজেকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা, চুপচাপ ভাবনা, সে ভাবনায় শুধু সে, আর কেউ নেই। যেন যত্নের ফুলগুলোকে ফুটিয়ে তোলার আত্মহারা আনন্দ। পড়ার খাতায় পাতার পর পাতা তার নাম লেখা। এই বেলাটা আবারো অন্যরকম। মায়া জড়ায়, মায়া কাটে, লতার মত আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা, অতঃপর ছন্দপতন। প্রিয় বন্ধু, প্রিয় মানুষেরা সামনে আসে ঝাপসা হয়, আবার কখনও কখনও অন্য কেউ প্রিয় হয়ে উঠে। কত স্বপ্ন, কল্পনার রাজ্যের রাজকন্যার মত বিচরন, তারপর একদিন এত স্বপ্নও পর হয়। বিবর্ণ পৃথিবী আরো ধুসর হয়। চিরচেনা পথ, হাত ধরে অকারনে হাটাহাটি ততদিনে শুধুই কষ্টের স্মৃতি। ঠিক যেমন সব ভালোকিছুর একটা শেষ থাকে তেমনই যেন! জীবনে এই বেলাটা যেন সব ভালোর শেষের দিকের গল্প।


তোমায় হারানোর পর একলা রাত আমাকেও জাগিয়েছে দিনের পর দিন। আজ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। মনে পড়াতে কি অপরাধ বলো? বলেছিলে “ভুলে যেও’ কথাটা রাখতে পারিনি কোনদিন। কোথায় আছো কেমন আছো জানিনা - তা’ বললে মিথ্যে বলা হবে। আধুনিকতার এই যুগে আমি ইন্দ্রজ্বাল ভেদ করলেই দেখি তুমি আছো। নিজ রাজ্যে আনাগোনা ব্যস্ততা সবই থাকে তোমার প্রতিদিন। আচ্ছা কখনও কি আমার মতই সময় বের করে নাও? জীবন থেকে চুরি করা সেই সময়ে প্রিয়জনকে পাশে রেখে ভাবনার অতলে গড়াও কোনদিন? আমি দেখি চেহারাটা অকারনে গম্ভীর করে রাখো। মনে মনে হাসি আর বলি পালাবে কোথায়? রুপালী স্বন্ধ্যায় বারান্দায় চায়ের কাপে কি স্মৃতির ধোঁয়া তোমাকেও ভাবিয়ে তোলে? কি জানি?

নাহ জীবন আমারও থেমে থাকেনি কখনই। কারো জীবনই আটকে থাকে না। যে যার মত পথ খুঁজে নেয় ঠিকই। আমিও নিয়েছি। কালোচুলে রুপালী ঝিলিকে চমকাইনা আজকাল আর। আটপৌড়ে জীবনে ক্লান্তি আমাকেও অস্বস্তিতে ফেলে প্রায়ই। মনে হ্য় সময়কে সামনে রেখে পিছন দিকে হাটি আর একবার। কোন অনুশোচনায় না, জাস্ট মনে হয়, মনও যেন তাই চায়।


লীলাবালী ৭
অন্ধকারের ছেলে

দরজার এপাশে অন্ধকার, ওপাশটায় একটা মৃদু আলো দেখা যায় কি যায়না। মাঝখানে একটা ঝকঝকে উঠোন। মাথার উপরে ছাই রঙ্গা আকাশে ডানা ঝাপটানো চিলের বুকচেড়া স্যাক্সোফোন। লীলাবালী ডাকে - "অন্ধকারের ছেলে", তোমার ব্যস্ত উঠোন পার হতে লাগে হাজার বছর?


লীলাবালী ৮
সময়
দেখা হবার ঘড়িটা শূণ্যে দোলে একা একা। ভাবে লীলাবালী...কবে যেন কথা ছিল...দেখা হবার কথা ছিল? সময়ের কি এখন ধূসর হবার সময় এসে গেল? হাজার সময় পার করে দেখা হলে কি থমকে দাঁড়ানো হবে না তোমার আমার? আর কোনদিন? অষ্টপ্রহর কষ্ট নিয়ে আর কত বাঁচি বলোতো ছেলে?

দিনের পাড় ঘেষে আসন্ন স্বন্ধ্যায় "বড় সাধ জাগে একবার তোমায় দেখি"।


লীলাবালী ৯

আজ একটা ভাবনার দিন
তুমি কত দূরে তা’ আমি জানি
কিন্তু তুমি আমার কত কাছে তা’ও আমি জানি।
তুমি আমায় ভাবোকি? ভাবে লীলাবালী –


লীলাবালী ১০

জীবন বড় অদ্ভূত - আগে মনে হয়নি কখনো
আজকাল অসহায় মূহুর্তগুলো খুব বেশি ভাবায়
অনেক ভালোবাসায় দম বন্ধকরা আদর আজ যেন মুক্তি চায়
কি করে বলি তোমায় বলতো?

লীলাবালী ১১

"তোমার নিয়ে ঘর বাঁধিবো গহীন বালুচরে"
গহীন বালুচরের ঠিকানা মনে পড়েনা
লীলাবালী খুঁজেই যায় -